1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাক-ঢোলের তালে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু

নিউজ ডেস্ক
আপলোড সময় : ১৪-০৪-২০২৪ ১০:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-০৪-২০২৪ ১০:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঢাক-ঢোলের তালে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু
‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ স্লোগানে ১৪৩১ সনের বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে।
 
 
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গিয়ে শেষ হবে।
 
 
শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা বর্ষবরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম।
 
 
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হলো এ বছর। এবারের শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমিরহননের গান’ কবিতা থেকে নেওয়া।
 
 
শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো রয়েছে পুরো এলাকা। পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবে না। কারণ চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়েছে।
 
 
শোভাযাত্রা নিয়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানে সবকিছুই। ঢাক-ঢোলের বাদ্যের তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ উল্লাস মাতিয়ে রাখে পুরো শোভাযাত্রা।
 
২০১৬ সালে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে চালু হওয়া এ মঙ্গল শোভাযাত্রা।
 
 
মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যেসকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছল নারীদের মাথায় শোভা পাচ্ছে নানা রঙ্গের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে লাল-সাদা পাঞ্জাবি।
 
 
শোভাযাত্রা ঘিরে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ, র্যাবের সঙ্গে রয়েছেন সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর রয়েছেন।
 
 
এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে রয়েছে নীল গাই, ময়ূর, বাঘ, হাতি, ভেড়া এবং মা ও শিশু। মঙ্গলের বারতা পেঁচা। এছাড়া রয়েছে মাছ ও রাজা-রানির মুখোশ।
 
 
 
শোভাযাত্রার পুরো পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এবারও মুখোশ ব্যবহার ও ভুভুজেলা বাজানো নিষিদ্ধ। নিরাপত্তার জন্য রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
 
 
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরুতে চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ১৯৯৬ সালে এর নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।
 
 
 
বর্ষবরণ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা চারুকলায় ১৯৮৯ সালে শুরু হলেও এর ইতিহাস আরও কয়েক বছরের পুরনো। ১৯৮৫ বা ১৯৮৬ সালে চারুপীঠ নামের একটি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরনো বাদ্যসহ আরও অনেক শিল্পকর্ম। শুরুর বছরেই যশোরে সেই শোভাযাত্রা আলোড়ন তৈরি করে।
 
 
 
 
পরবর্তীকালে যশোরের সেই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তাদের একজন মাহবুব জামাল শামীম মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে ঢাকার চারুকলায় চলে আসেন। এরপর যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই চারুকলা থেকে শুরু হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ